গৌরনদীতে মাছধরা কেন্দ্রকরে ভাই ভাই রক্ত ক্ষয়ই সংঘর্ষে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

গৌরনদী প্রত্রিনিধি
পারিবারিক জমি ও অর্থ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় লাকী বেগম (৪০) স্বামী হেমায়েত উদ্দিন ফকির গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বর্ণালংকার লুট ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে,শনিবার বিকেল পাঁচটার সময় উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে-ভুক্তভোগীর লাকী বেগমের স্বামী হেমাতেয় উদ্দিন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোসাঃ লাকী বেগম একই বাড়িতে বসবাসরত স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে তাঁর ভাসুর, ভাসুরের সহযোগী (ফাতেমা বেগম) এবং ভাসুরের কন্যারা রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁদের জায়গায় সেচের জন্য মেশিন বসাতে যান। বিষয়টি দেখে লাকী বেগমের স্বামী মোঃ হেমায়েত উদ্দিন শান্তভাবে কারণ জানতে চাইলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
একপর্যায়ে অভিযোগ অনুযায়ী, প্রধান অভিযুক্ত ঘর থেকে ধারালে রামদা বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ লাকী বেগমের মাথায় কোপ মারে। এতে তাঁর মাথার ডান পাশে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আহত লাকী বেগমের চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা সবাই মিলে তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে পরিবারের একাধিক সদস্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এছাড়াও মারধরের সময় অভিযুক্তরা আহত মোঃ লাকি বেগমের হাতে থাকা প্রায় আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের আংটি এবং বারো আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনেই অভিযুক্তরা মামলা করলে পুরো পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করে ভুক্তভোগীরা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আহত লাকি বেগমকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয় কবির ফকির এর সাথে কথা বলে যানা যায় তার ছোট ভাই আমির ফকির আহত সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।প্রত্যক্ষ সাক্ষী সুমালচন্দ মাল জানান আমার চোখের সামনে একপর্যায়প কথা কাটাকাটির পর দৌড়ে ঘর থেকে ধারালো রামদা এনে লাকি বেগমের মাথায় কোপ দেয় এতে লাকি বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে শুয়ে পড়লে আমরা সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ তারিক হাসান রাসেল জানান, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Share this content:


Post Comment